Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
গোপালদী জমিদার বাড়ি (ভূঁঞা বাড়ি)
বিস্তারিত

প্রায় একশত বছর আগে এই গোপালদী জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। এই জমিদার বাড়িটি আবার সদাসদী জমিদার বাড়ি নামেও পরিচিত। এই গোপালদী এলাকায় ৩ জন জমিদার ছিলেন আর ৩ জন ছিলেন ৩ বংশের। জমিদার বংশগুলো হলো - সর্দার, তেলি ও ভূঁঞা। এই ৩ বংশের জমিদারের মধ্যে সবচেয়ে বড় জমিদার ছিলেন সর্দার বংশধররা। সর্দার বংশের জমিদার ছিলেন শ্রী প্রসন্ন কুমার সর্দার। আর তারা ছিলেন ৩ ভাই। জমিদার শ্রী প্রসন্ন কুমার সর্দারের এক ভাইয়ের নাম ছিলো মরিন্দ্র কুমার সর্দার আর অন্য ভাইয়ের নাম ছিলো শ্রী গোপাল চন্দ্র সর্দার। আর গোপাল চন্দ্রের নাম অনসুারে এই এলাকার নাম হয় গোপালদী। এই জমিদার বংশের শেষ জমিদার ছিলেন গোপাল চন্দ্রের ছেলে খোকন সর্দার। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ভারতে চলে যান। এখানে ৩টি জমিদার বাড়ির আরেকটি হলো ভূঁঞা জমিদার বাড়ি। ভূঁঞা জমিদাররা ছিলেন ২ ভাই। হরিচন্দ্র ভূঁঞা ও কানাইচন্দ্র ভূঁঞা এবং এই জমিদার বংশের শেষ জমিদার ছিলেন জগবন্ধু জমিদারজমিদার বাড়িটি দোতালা এবং কারুকার্যখচিত। যা ১০১ কক্ষবিশিষ্ট বাড়ি। বাড়িটির সামনে একটি উঠান। উঠানের ৩ দিকে আরো ৩টি বাড়ি। এখানে একটি বিশাল পুকুর আছে এবং এখানে দুটি শানবাঁধানো ঘাট ছিল এবং ঘাটগুলোর মাঝে একটি দেয়াল ছিল। এই ঘাটগুলোর একটিতে পুরুষ, অন্যটিতে মেয়েরা গোসল করত। ঘাটের সিঁড়িগুলো এখনো রয়েছে যা এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে।ঢাকা,সায়দাবাদ থেকে অভিলাস পরিবহণ বাস ছাড়ে গোপালদীর উদ্দেশ্যে। ভাড়া ৬৫/- টাকা। গুলিস্তান থেকে দোয়েল বা স্বদেশ পরিবহণে মদনপুর ৪৫ টাকায় নেমে আড়াইহাজার বা গোপালদীতে সিএনজিযোগে আসা যাবে। কলাবাগান থেকে মেঘলা পরিবহণ বাস ছাড়ে ভুলতা বা গাউছিয়া। ভাড়া ৬৫/- টাকা। গাউছিয়া নেমে একটু সামনে যেয়ে লোকাল সিএনজিতে আড়াইহাজার বাজার ভাড়া ৩০/-টাকা। আড়াইহাজার থেকে সিএনজিতে গোপালদী, ভাড়া ২৫/-টাকা। কুড়িল ফ্লাইওভারে ৩০০ফিট ক্রসিং থেকে লোকাল টেক্সিতে গাউছিয়া। ভাড়া ৮০/- টাকা। গাউছিয়া নেমে একটু সামনে যেয়ে লোকাল সিএনজিতে আড়াইহাজার বাজার ভাড়া ৩০/-টাকা। আড়াইহাজার থেকে সিএনজিতে গোপালদী, ভাড়া ২৫/-টাকা।